প্রকাশিত: ০৮/০৭/২০১৬ ৯:৪৫ এএম

faria_innerযৌথ প্রযোজনার ‘বাদশা দ্য ডন’ মুক্তি পেল বৃহস্পতিবার। ঈদের সিনেমাটিতে বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়ার বিপরীতে আছেন কলকাতার জিৎ। সম্প্রতি দুই তারকা ঢাকা ক্লাবে অংশ নেন প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান।

ক্যারিয়ারের তিন ছবির মধ্যে দুটিই ঈদের!আরে! আপনি তো দারুণ জিনিস ধরেছেন। আমি নিজেও বিষয়টি খেয়াল করিনি। এটা আমার সৌভাগ্য বলতে পারেন।

এবার মুক্তি পাচ্ছে ‘বাদশা দ্য ডন’। কতটুকু সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারবে বলে মনে করেন?

আমি আত্মবিশ্বাসী। দর্শক আমাকে ‘আশিকি’তে নতুন হিসেবে যেভাবে গ্রহণ করেছিল, এ ছবিতে তারচেয়েও ভালোভাবে গ্রহণ করবে।

আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি?

কারণ দর্শক ইতোমধ্যে ছবিটির টিজার, ট্রেলার ও গানের প্রশংসা করেছে। তারা আমাকে মেসেজ দিয়েছে ছবিটির জন্য অপেক্ষা করছে। তাছাড়া ‘বাদশা’র নায়ক জিৎ— উনি কলকাতা ও বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়। হল মালিক ও দর্শকরা তাকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সিনেমা হলে দেখার জন্য অপেক্ষা করছে।

শুটিংয়ের গল্প শুনতে চাই।

ছবিতে আমি ‘অ্যাটিচুডওয়ালা’ একটি মেয়ে। আমার চরিত্রের নাম শ্রেয়া। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে শুটিংয়ে সারাক্ষণই ‘শ্রেয়া’র মধ্যে থাকতাম। ঘুম থেকে উঠেই আমি ‘এটা করব না, ওটা করব না, এটা ভালো লাগছে না’— শুরু করে দিতাম। এ সব আমার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট ছিল।

কিন্তু এতে তো আপনার উপর পরিচালকের ক্ষেপে যাওয়ার কথা।

ক্ষেপে নাই, উল্টো খুশি হয়েছে। কারণ বুদ্ধিটা তো তার দেওয়া। হয়েছে কী বাবা যাদবকে বললাম, “হিরো ৪২০’-এর পারফর্ম্যান্স নিয়ে খুব একটা খুশি না। যদিও অনেক প্রশংসা করেছিল সবাই।” তখন তিনি আমাকে বলেন, ‘তাহলে তুমি সারাক্ষণ তোমার চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাক’। মজার কথা হচ্ছে আমার এমন ব্যবহারে সেটের অনেকেই বলেছে, ‘বাংলাদেশের নায়িকারা এত মুডি হয় নাকি।’

গুঞ্জন উঠেছিল জিৎ আপনার প্রতি ‘ক্ষুব্ধ’ ছিলেন। তাই কলকাতায় আপনার সাথে প্রথম কয়েকদিন শুটিং করেননি?

কী বলেন এসব! আমার প্রতি ক্ষুব্ধ! তাহলে শুটিং শেষ হয়ে ছবি মুক্তি পাচ্ছে কীভাবে?

তাহলে বাজারে এ কথা কীভাবে ছড়াল?

দেখেন, একজন বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে আপনি ভালো করেই জানেন— সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই আছেন যারা অন্যের ভালো দেখতে পারেন না। তাদের কেউ এটা ছড়িয়েছেন কিনা জানি না। তবে বলতে পারি, ‘এটা সম্পূর্ণ ভুল ও মিথ্যে গুঞ্জন ছিল।’

 

অপু, শ্রাবন্তী, তিশা, আঁচলের মতো নায়িকাদের সাথে আপনার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। টেনশন হচ্ছে না?

তারা তো অনেক সিনিয়র। তাদের অনেকের ক্যারিয়ারের বয়স তো প্রায় দুই যুগ। তাহলে তাদের সাথে আমার দশ মাসের ক্যারিয়ারে তুলনা কেন? তবে আমি বলব, তাদের সাথে ছবি মুক্তি পাওয়া আমার জন্য সৌভাগ্যের। কারণ তারা যে স্ট্যান্ডার্ডের সে স্ট্যান্ডার্ডে ফারিয়াকে গণ্য করা হয়েছে বিধায় আমার ছবি ঈদে আসছে। আমি খুব সম্মানিতবোধ করছি।

আপনার আগের দুই ছবি নিয়ে ভালো-মন্দ দুই ধরনের সমালোচনাই আছে। ‘বাদশা দ্য ডন’ নিয়ে কোনো ধরনের সমালোচনা বেশি হতে পারে?

পজেটিভ। আমি বিশ্বাস করি। কারণ এ ছবি নিয়ে এখনো নেগেটিভ কোনো কথা শুনেনি।

এটা তো টিজার, গান দেখে। ছবি দেখে নেগেটিভ মন্তব্য আসতেও পারে?

সেক্ষেত্রে খুঁজে বের করব কেন দর্শক নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। সে অনুযায়ী নিজেকে শুধরে নেব। তবে আমার বিশ্বাস দর্শক নেগেটিভ বলবে না। দর্শকের ভালো লাগার মতো সব উপাদান আছে এতে।

তাহলে ফারিয়ার ক্যারিয়ারে ‘বাদশা’ কি ভিন্নমাত্রা যোগ করতে পারবে?

আমি বলব, ‘বাদশা’ দিয়ে ফারিয়ার ক্যারিয়ার ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ যদি বলেন তাহলে বলব, আমরা বিচে গেলে প্রথমে কী খাই? ম্যাকডোনাল্ডস। এটিও আমার ক্যারিয়ারের ম্যাকডোনাল্ডস।

তিনটা ছবির সবই যৌথ প্রযোজনার। একক বাংলাদেশি প্রযোজনা নেই।

যেহেতু আমাকে জাজ এনেছে, তাই কিছু বাধ্যবাধ্যকতা তো আছে। তাদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ছবি করছি। তারা যৌথ করলে যৌথ, একক করলে একক। তাদের বাইরে ছবি করলেও তাদের মতামত নিয়েই করব। তবে আমি নিজে আপাতত জাজের বাইরে ছবি করতেও চাই না।

আপনাকে তো দেশের অনেক দর্শক কলকাতার নায়িকা হিসেবে চিনে।

আর বলবেন না, ভাইয়া। ‘প্রেমী ও প্রেমী’র শুটিংয়ের ফাঁকে এফডিসিতে একটা ফটোশুট করছিলাম। তখন হুট করে কিছু লোক শুটিং দেখতে আসছিল মনে হয়। তারা বলল, ‘আরে দেখ, দেখ। এটা ইন্ডিয়ান নায়িকা ফারিয়া না।’ প্রথমে খারাপ লাগছিল। পরে যখন ওদের মুখেই শুনলাম, ‘মাইয়াটা বেশ ভাল অ্যাক্টিং করে’। তখন আবার মনটা ভাল হয়ে যায়।

‘প্রেমী ও প্রেমী’র শুটিং শেষে কোন ছবির সেটে ঢুকবেন।

এখনো জানি না। তবে মনে হয় দুমাসের ছুটিতে যাব। অনেকদিন টানা শুটিং করলাম। পরিবার ও নিজেকে একটু সময় দিতে চাই।

পাঠকের মতামত